প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘর পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ২০২১ সাল নাগাদ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো যাবে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুতের ব্যবহারকারী ছিল ৪৭ ভাগ, আজ ৯৭ দশমিক ৫০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকরণে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। আজকের এই ৩১টি উপজেলায় উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। এর ফলে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না সেখানে আমরা সোলারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিশেষ করে চরাঞ্চলে সোলার ব্যবহার যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ সোলার দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। ’২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দিন যতই যাচ্ছে বিদ্যুতের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে তৈরি করেছি। ফলে গ্রামগঞ্জে পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘গ্রামের মানুষ যেন সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শুধু শহরের মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দিলে হবে না, গ্রামে এখন অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেন, আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রচুর টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া ও অপচয় না করার আহ্বান জানান তিনি।